সংবাদচর্চা রিপোর্ট
করোনাভাইরাস আতঙ্কে সকল ধরণের জনসমাগম ঘটানোর উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলে তা মানছে না নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কুতুবপুরের পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়। এই পরিস্থিতির মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করতে যাচ্ছে ২১ মার্চ। এ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে কুতুবপুর জুড়ে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালের দিকে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে জনসমাগম তথা একত্রিত দশজন দাঁড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জানিয়ে মাইকিংও করা হয়েছে। তাই প্রশ্ন উঠেছে, কোন ক্ষমতার বলে ২১ মার্চ পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোটগ্রহণ বহাল রেখেছে?
সূত্র জানায়, পাগলা উচ্চবিদ্যালয়ের ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ৩শ ১৩ জন। এছাড়াও একটি নির্বাচনে প্রার্থী পক্ষের লোক, উৎসুক লোক, সব মিলিয়ে এদিন প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার লোক সমাগম ঘটবে এদিন। যার কারণে পুরো বিষয়টি নিয়েই এলাকাজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। চলছে ক্ষোভ।
এ ব্যাপারে স্থানীয় কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল আলম সেন্টু বলেন, এ পরিস্থিতিতে বিষয়টি অবশ্যই ভয়ের। কিন্তু এখানে আমাদের করণীয় কিছু নেই। নির্বাচন যারা পরিচালনা করবেন, তারা এ ব্যাপারে পদক্ষে নিতে পারবে। বিষয়টি ইউএনও, জেলা প্রশাসনের এখতিয়ার। তারা যদি মনে করেন নির্বাচন স্থগিত হবে, তাহলে সেটিই। আমরা সতর্কতা জারি করে এলাকাব্যাপী মাইকিং করে যাচ্ছি। এর বেশি কিছু করার নেই।
এমন পরিস্থিতিতে এক সঙ্গে এত মানুষে সমাগম ভয়ের ব্যাপার স্বীকার করলেও স্কুলটির প্রধান শিক্ষক বজ্রেন্দ্র নাথ বলেন, নির্বাচনটি করা বাধ্যবাধ্যকতা রয়েছে। যথা সময়ে নির্বাচনটি করতেই হবে। নয়তো এটি আর হবে না। এডহক কমিটি করতে হবে। তাই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্কুলের সামনে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যেক ভোটার এখানে হাত ধুবে এবং তাদেরকে মাস্ক দেওয়া হবে। এরপর তারা ভোট দিয়ে চলে যাবে।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল গাফফার রয়েছেন নির্বাচনী প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে। এমন পরিস্থিতিতে এই নির্বাচনটা কতটা যৌক্তিক, এ ব্যাপারে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এটা কতটা যৌক্তিক তা আমি বলতে পারবো না।” এরপরই তিনি আমতা আমতা করে বলেন, এটাতো আসলে আমাদের আইনগত বাধ্যবাধ্যকতা আছে” বলার পরই তিনি বলেন, আমিতো রাস্তায়, পরে কথা বলতে হবে।” এরপরই তিনি ফোনটি রেখে দেন।
এদিকে এ ব্যাপারে জানতে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিকের মুঠোফোনে (অফিসিয়াল এবং ব্যক্তিগত) একাধিকবার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।